সালেহ্ বিপ্লব: [২] রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

[৩] রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁকে স্বাগত জানান।

[৪] বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের  সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

[৫] রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে দলের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে শহীদ বেদীতে আরও একটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।

[৬] রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সরকারি বেসরকারি সংস্থাসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। 

[৭] প্রধানমন্ত্রী এরপর রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

[৮] পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এই অবিসংবাদিত নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

[৯] এখানেও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরেকটি পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

[১০] ১৯৭১ সালের  ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্তে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্মম নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুরের জলাভূমিতে হত্যা করে ফেলে রাখে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার,  সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান, সাংবাদিক ও কবি সেলিনা পারভীন, সাহিত্যিক মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক অনোয়ার পাশা, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ সহ আরো অনেকে।

[১১] বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী